একজন কৃষ্ণ-ভক্ত তার হৃদয়কে বৃন্দাবনরুপে পরিনত করে শ্রীকৃষ্ণের স্বচ্ছন্দ বিহার স্থল করার জন্য, মহা উৎসাহের সঙ্গে উচ্চস্বরে কৃষ্ণ-নাম জপ করতে করতে হৃদয় মার্জন করেন। এবং হৃদয়কে নির্মল ও শান্ত করে সেখানে শ্রীকৃষ্ণকে প্রতিষ্ঠা করেন। ''চিত্তদর্পন পরিমার্জনকারী, কৃষ্ণ কীর্ত্তন জয় চিত্ত বিহারী''।। হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র যিনি নিষ্ঠা সহকারে জপ ও কীর্ত্তন করে তার চিত্তরুপ দর্পনকে মার্জিত ও নির্মল করে চিত্তকে আনন্দ প্রদান করে। যে যতবেশী হরিনামের নিকট নিজের হৃদয়কে যুক্ত করে, সে ততবেশী শুদ্ধ হয়। যেমন, লোহার রড আগুনের সংস্পর্শে উষ্ণ থেকে উষ্ণতর হয় তেমনি শ্রীকৃষ্ণের নাম, রুপ, লীলা ও গুন কীর্ত্তন ও শ্রবন করলে মন ও চিত্ত বেশী বেশী পরিশুদ্ধ হয়। ''হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে''।। হরিনাম জিহ্বার স্পর্শমাত্র দুর্বাসনা বিনাশপূর্বক প্রেম ফল প্রদান করে। যাদের জিহবায় ভগবানের দিব্যনাম বিরাজ করে তারা যদি অত্যন্ত নীচকুলেও জন্ম গ্রহন করে তবুও তারা শ্রেষ্ঠ। #যেমন, লক্ষহীরা বাঈজি হরিনাম জপ করে উদ্ধার হন। জগাই-মাধাই ঘোর পাপী হরিনাম করে উদ্ধার হন। রত্নাকর দস্যু রামনাম জপ করে মুক্তি পান। অজামিল নারায়ন নারায়ন' বলে উদ্ধার লাভ করেন।