in ধর্ম ও আধ্যাত্মিক বিষয় by
রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর নাম সমূহ কি কি তা লিখ?

2 Answers

+1 vote
by
 
Best answer
জুবাইর বিন মুত্ব‘ইম (রাঃ) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, إِنَّ لِى أَسْمَاءً أَنَا مُحَمَّدٌ وَأَنَا أَحْمَدُ وَأَنَا الْمَاحِى الَّذِى يَمْحُو اللهُ بِىَ الْكُفْرَ وَأَنَا الْحَاشِرُ الَّذِى يُحْشَرُ النَّاسُ عَلَى قَدَمَىَّ وَأَنَا الْعَاقِبُ الَّذِى لَيْسَ بَعْدَهُ أَحَدٌ- ‘আমার অনেকগুলি নাম রয়েছে। আমি মুহাম্মাদ (প্রশংসিত), আমি আহমাদ (সর্বাধিক প্রশংসিত), আমি ‘মাহী’ (বিদূরিতকারী)। আমার মাধ্যমে আল্লাহ কুফরীকে বিদূরিত করেছেন। আমি ‘হাশের’ (জমাকারী)। কেননা সমস্ত লোক ক্বিয়ামতের দিন আমার কাছে জমা হবে (এবং শাফা‘আতের জন্য অনুরোধ করবে)। আমি ‘আক্বেব’ (সর্বশেষে আগমনকারী)। আমার পরে আর কোন নবী নেই’।[বুখারী হা/৪৮৯৬; মুসলিম হা/২৩৫৪; মিশকাত হা/৫৭৭৬-৭৭] সুলায়মান মানছূরপুরী বলেন, উক্ত নাম সমূহের মধ্যে মুহাম্মাদ ও আহমাদ হল তাঁর মূল নাম এবং বাকীগুলো হল তাঁর গুণবাচক নাম। সেজন্য তিনি সেগুলির ব্যাখ্যা করেছেন। এই গুণবাচক নামের সংখ্যা মানছূরপুরী গণনা করেছেন ৫৪টি। তিনি ৯২টি করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন।[মানছূরপুরী, রহমাতুল্লিল ‘আলামীন ৩/১৯৮ পৃঃ]
‘মুহাম্মাদ’ নামের প্রশংসায় চাচা আবু তালিব বলতেন,
وَشَقَّ لَهُ مِنَ اسْمِهِ لِيُجِلَّهُ + فَذُو الْعَرْشِ مَحْمُودٌ وَهَذَا مُحَمَّدُ
‘তাঁর মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য আল্লাহ নিজের নাম থেকে তার নাম বের করে এনেছেন। তাই আরশের মালিক হলেন মাহমূদ এবং ইনি হলেন মুহাম্মাদ’।[1]




[1]. বুখারী, তারীখুল আওসাত্ব ১/১৩ (ক্রমিক ৩১); যাহাবী, সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা ১/১৫৩। উল্লেখ্য যে, উক্ত কবিতাটি হাসসান বিন সাবিত আনছারী (রাঃ)ও তার দীওয়ানের মধ্যে যুক্ত করেছেন (দীওয়ানে হাসসান পৃঃ ৪৭)।
0 votes
by
জুবাইর বিন মুত্ব‘ইম (রাঃ) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, إِنَّ لِى أَسْمَاءً أَنَا مُحَمَّدٌ وَأَنَا أَحْمَدُ وَأَنَا الْمَاحِى الَّذِى يَمْحُو اللهُ بِىَ الْكُفْرَ وَأَنَا الْحَاشِرُ الَّذِى يُحْشَرُ النَّاسُ عَلَى قَدَمَىَّ وَأَنَا الْعَاقِبُ الَّذِى لَيْسَ بَعْدَهُ أَحَدٌ- ‘আমার অনেকগুলি নাম রয়েছে। আমি মুহাম্মাদ (প্রশংসিত), আমি আহমাদ (সর্বাধিক প্রশংসিত), আমি ‘মাহী’ (বিদূরিতকারী)। আমার মাধ্যমে আল্লাহ কুফরীকে বিদূরিত করেছেন। আমি ‘হাশের’ (জমাকারী)। কেননা সমস্ত লোক ক্বিয়ামতের দিন আমার কাছে জমা হবে (এবং শাফা‘আতের জন্য অনুরোধ করবে)। আমি ‘আক্বেব’ (সর্বশেষে আগমনকারী)। আমার পরে আর কোন নবী নেই’।[বুখারী হা/৪৮৯৬; মুসলিম হা/২৩৫৪; মিশকাত হা/৫৭৭৬-৭৭] সুলায়মান মানছূরপুরী বলেন, উক্ত নাম সমূহের মধ্যে মুহাম্মাদ ও আহমাদ হল তাঁর মূল নাম এবং বাকীগুলো হল তাঁর গুণবাচক নাম। সেজন্য তিনি সেগুলির ব্যাখ্যা করেছেন। এই গুণবাচক নামের সংখ্যা মানছূরপুরী গণনা করেছেন ৫৪টি। তিনি ৯২টি করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন।[মানছূরপুরী, রহমাতুল্লিল ‘আলামীন ৩/১৯৮ পৃঃ] ‘মুহাম্মাদ’ নামের প্রশংসায় চাচা আবু তালিব বলতেন, وَشَقَّ لَهُ مِنَ اسْمِهِ لِيُجِلَّهُ + فَذُو الْعَرْشِ مَحْمُودٌ وَهَذَا مُحَمَّدُ ‘তাঁর মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য আল্লাহ নিজের নাম থেকে তার নাম বের করে এনেছেন। তাই আরশের মালিক হলেন মাহমূদ এবং ইনি হলেন মুহাম্মাদ’।[1]

Related questions

উত্তর সন্ধানী! বেস্ট বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর ওয়েবসাইট। প্রশ্ন করুন, উত্তর নিন, সমস্যা সমাধান করুন ।
উত্তর সন্ধানী কি?
উত্তর সন্ধানী বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর এর ওয়েবসাইট।
গোপন প্রশ্ন ও উত্তর। ডিজিটাল শিক্ষায় প্রশ্নের উত্তরের সেরা ওয়েবসাইট।
...