তাওহীদে আসমা ওয়াস্ সিফাত হলো আল্লাহর নাম এবং গুণাবলীতে একত্ব প্রতিষ্ঠা করা। এর অর্থ হলো, আল্লাহর নামগুলো (আসমা) এবং গুণাবলীগুলো (সিফাত) কেবলমাত্র তাঁর সাথেই সম্পর্কিত, এবং মানুষ বা অন্য কোনো সৃষ্ট জীবের সাথে এই নাম বা গুণাবলীর তুলনা করা যায় না। আল্লাহর কোনো গুণের মধ্যে মানবীয় কোনো গুণ বা সৃষ্টির কোনো সীমাবদ্ধতা নেই।
কেনো তাওহীদে আসমা ওয়াস্ সিফাত গুরুত্বপূর্ণ:
1. আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠা: আল্লাহর প্রতিটি নাম ও গুণই মহত্ত্বপূর্ণ এবং তাঁর প্রভুত্ব ও ক্ষমতার প্রকাশ। উদাহরণস্বরূপ, আল্লাহর একটি নাম হলো "আল-আলীম" (সর্বজ্ঞ), যা নির্দেশ করে যে, তিনি সর্বজ্ঞাতা এবং সবকিছু জানেন। এর ফলে, আল্লাহর জ্ঞান বা ক্ষমতা অন্য কারো সাথে তুলনা করা বা তার অংশীদার করা শিরক হিসেবে গণ্য হবে।
2. মানুষের সীমাবদ্ধতা: আল্লাহর গুণাবলী যেমন দয়া, ক্ষমা, এবং করুণা, এগুলো অনন্ত এবং সর্বব্যাপী। কিন্তু মানুষের গুণাবলী সীমিত এবং অসিদ্ধ। তাই আল্লাহর গুণাবলীর কোনো তুলনা করা বা মানুষকে সেই গুণাবলীতে সমতুল্য ভাবা ইসলামে নিষিদ্ধ।
3. বিশুদ্ধ ইবাদত: যখন একজন মুমিন আল্লাহর সঠিক নাম ও গুণ সম্পর্কে জ্ঞান রাখে, তখন সে তাঁর প্রতি আরও গভীর ভালোবাসা, শ্রদ্ধা এবং ভক্তি অনুভব করে। এটি তার ইবাদতকে আরও বিশুদ্ধ ও নির্ভুল করে তোলে, কারণ সে বুঝতে পারে যে আল্লাহ একক এবং কোনো ধরনের সীমাবদ্ধতার মধ্যে আবদ্ধ নন।
তাওহীদে আসমা ওয়াস্ সিফাত মেনে চলা মানে আল্লাহর নাম এবং গুণাবলীকে যেমনটি কুরআন এবং হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ঠিক সেভাবে মেনে নেওয়া এবং আল্লাহকে তাঁর সৃষ্টির সাথে কোনোভাবেই তুলনা না করা।