যুদ্ধ বা গাযওয়া শব্দটি ইসলামি শাসন এবং নবী মুহাম্মদ (সঃ)-এর সময়কালের যুদ্ধে ব্যবহৃত হয়। এর পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকে, যা সাধারণত নিম্নলিখিত বিষয়গুলির মধ্যে পড়ে:
১. নিরাপত্তা এবং প্রতিরোধ:
মুসলিম সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং তাদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য আক্রমণের প্রতিরোধ করার জন্য গাযওয়া পরিচালনা করা হতো। এটি ছিল মদিনার মুসলিমদের নিরাপত্তা এবং অস্তিত্ব রক্ষার একটি প্রয়াস।
২. ইসলামের প্রসার:
গাযওয়ার মাধ্যমে ইসলামি ধর্মের বাণী ছড়িয়ে দেওয়া এবং নতুন সম্প্রদায়গুলিকে ইসলামে অন্তর্ভুক্ত করা। নবী (সঃ) ইসলামের দাওয়াত দিতে গিয়ে বিভিন্ন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতেন।
৩. শত্রুতার মোকাবেলা:
মক্কার কুরাইশ এবং অন্যান্য সম্প্রদায় যারা ইসলামের বিরুদ্ধে কার্যক্রম চালাত, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ গ্রহণ করা। ইসলামের শত্রুরা মুসলিমদের উপর বিভিন্ন সময়ে হামলা চালাত, যা গাযওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়াত।
৪. আর্থিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা:
বিভিন্ন যুদ্ধে সম্পদ ও সম্পত্তি অধিকার করা, যা মুসলিম সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সহায়ক ছিল।
৫. অবাধ্যতা ও বিদ্রোহ:
যেসব উপজাতি ইসলাম গ্রহণ করেছিল, কিন্তু পরে ইসলামের প্রতি অবাধ্যতা দেখিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
প্রত্যেক গাযওয়ার পিছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে, এবং সেই কারণগুলো সময়ের প্রেক্ষাপট ও পরিস্থিতির উপর নির্ভরশীল।