ইলিশ (Tenualosa ilisha), যাকে বাংলায় "ইলিশ মাছ" বলা হয়, এটি একটি জনপ্রিয় এবং সুস্বাদু সামুদ্রিক মাছ। বাংলাদেশের জাতীয় মাছ হিসেবে এটি বিশেষ পরিচিত। নিচে ইলিশ মাছের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হলো:
বৈশিষ্ট্য:
দেহের গঠন: ইলিশ মাছের দেহ স্লিম এবং সরু, সাধারণত লম্বা এবং সুডোল আকৃতির। এর পেছনের দিক গা dark ় এবং পেটের দিক সাদা।
স্কেল: ইলিশের দেহে ছোট ছোট স্কেল থাকে, যা দেখতে চকচকে।
খাদ্য ও পুষ্টি:
পুষ্টিগুণ: ইলিশ মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন, ভিটামিন এবং মিনারেল সমৃদ্ধ। এটি হৃদরোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকে উন্নত করে।
পদ্ধতি: ইলিশ সাধারণত অন্যান্য ছোট মাছ, ক্রাস্টেসিয়ান এবং প্লাংকটন খেয়ে থাকে।
বাসস্থান:
পানির পরিবেশ: ইলিশ সাধারণত নদী ও সমুদ্রের মিষ্টি পানিতে বাস করে। এটি নদী মুখে এবং মিষ্টি পানির অঞ্চলগুলোতে বেশি দেখা যায়।
প্রজনন: ইলিশ মাছ সাধারণত মে থেকে জুলাই মাসে প্রজনন করে, এবং এ সময় তারা নদীতে উঠে আসে।
অর্থনৈতিক গুরুত্ব:
মাছ ধরা: ইলিশ বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ইলিশ মাছ ধরা হয় এবং এটি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি করা হয়।
সংস্কৃতি: ইলিশ মাছ বাংলার সংস্কৃতিতে বিশেষ স্থান অধিকার করে। এটি বিভিন্ন রেসিপির জন্য ব্যবহৃত হয়, যেমন- ইলিশের ঝোল, ইলিশ ভাজা, ইলিশ পকোড়া, ইত্যাদি।
সংরক্ষণ:
ইলিশ মাছের প্রজনন ও সংরক্ষণে গুরুত্ব দেওয়া হয়, কারণ অতিরিক্ত মাছ ধরা এবং জলবায়ুর পরিবর্তন ইলিশের সংখ্যা কমিয়ে দিচ্ছে। সরকার ও বিভিন্ন সংস্থা ইলিশ মাছের সংরক্ষণে কাজ করছে।
ইলিশ মাছ সম্পর্কে আরও কিছু জানতে চাইলে জানাতে পারেন!