শ্বেত রক্তকণিকাঃ হিমোগ্লোবিন বিহীন সাদা বর্ণের অনিয়তাকার নিউক্লিয়াসযুক্ত রক্ত কণিকাগুলোকে শ্বেত রক্তকণিকা বলে।
শ্বেত রক্তকণিকা আবার বেশ কয়েক প্রকার কোষ, যেমন নিউট্রোফিল, বেসোফিল, মমোসাইট, লিম্ফোসাইট, ইওসিনোফিল।
শ্বেত রক্তকণিকাকে দেহের অতন্দ্রপ্রহরী বলা হয়। কারণ শ্বেত রক্তকণিকা দেহে সার্বক্ষণিক প্রতিরক্ষার কাজ করে। যখন দেহে কোন জীবাণু প্রবেশ করে তখনি ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় জীবাণুকে খেয়ে ফেলে এই শ্বেত রক্তকণিকার মনোসাইট ও নিউট্রোফিল কোষগুলো। লিম্ফোসাইট কোষগুলো দেহে এন্টিবডি সৃষ্টি করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বেসোফিল কোষগুলো হেপারিন ক্ষরণ করে রক্তনালীর ভেতর রক্ত জমাট বাধা প্রতিরোধ করে এবং জীবাণু কতৃক নিসৃত টক্সিনকে প্রতিরোধ করে। লিউকোসাইট কোষ গুলো হিস্টামিন ক্ষরণের মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। নিউট্রোফিল বিষাক্ত দানা জীবাণু ধ্বংস করে, ইউসিনোফিল কোষ গুলো রক্তে প্রবেশকৃত পরজীবি যেমন কৃমির লার্ভা এবং এলার্জিক এন্টিবডি ধ্বংস করে।
এভাবে সর্বদাই শ্বেত রক্তকণিকা দেহে পাহারা দেয় এবং যখনি ক্ষতিকর কিছু ঘটে তখনি শ্বেত রক্তকণিকা তা প্রতিরোধ করে। তাই শ্বেত রক্তকণিকাকে অতন্দ্র প্রহরী বলা হয়।