1 Answer

0 votes
by
✦✦ সেবার সংক্ষিপ্ত বিবরণ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রয়েছে প্রায় ৩০০,০০০ এর অধিক দেশপ্রেমিক গর্বিত সদস্য। ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যান্য সেনাবাহিনীর মতো ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর আদলে গঠিত হয়েছে এই বাহিনী সাতটি ডিভিশন নিয়ে। অবশ্য এই বাহিনী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর কৌশলগত পরিকল্পনা কার্যপ্রণালী, প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি এবং নন-কমিশন্ড অফিসার প্রশিক্ষণ পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। এটি গোলন্দাজ, সাঁজোয়া ও পদাতিক ইউনিট দ্বারা সজ্জিত। অধিকন্তু এই বাহিনী, শান্তি-রক্ষী বাহিনী হিসাবে তার সামর্থ্য উন্নত করতে উৎসাহী এবং সেই লক্ষে মার্কিন বাহিনীর সাথে একযোগে কাজ করছে। সামরিক বাহিনীতে ক্যারিয়ার গড়ার ইচ্ছা যাদের রয়েছে, তাদের ইচ্ছাকে বাস্তবে পরিণত করার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী চাহিদানুযায়ী নিয়মিতভাবে নিয়োগ প্রদান করে থাকে। সেনাবাহিনীর চাকরি আমাদের দেশের তরুণদের কাছে স্বপ্ন। অনেকের জীবনের লক্ষ্য সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা বা সৈনিক হিসাবে চাকরি করা । দেশের সেবা করার জন্য সব চেয়ে উত্তম জায়গা হলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে যেমন দেশ ও জাতির সেবা করা যায় তেমনি নিজের জীবনকেও উন্নত করা যায়। ✦✦✦ সেবার সুবিধা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে নেতৃত্বের চ্যালেঞ্জ গ্রহন করে, যোগ্যতা অনুযায়ী বিভিন্ন পদে কর্মরত হওয়ার স্বপ্ন পুরণ । আর্থিক ও সামাজিক সম্মান প্রাপ্তির সুযোগ । দেশের সেবায় নিজের মেধা ও যোগ্যতা কাজে লাগানোর উৎসাহ প্রদান। ✦✦✦ প্রক্রিয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করা যায়। আবেদনে সকল তথ্য নির্ভুল ও সঠিক হতে হবে অন্যথায় আবেদন গ্রহণ করা হবে না। আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই করে উপযুক্ত হলে প্রার্থীকে জানানো হয়। এরপর নির্দিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রে লিখিত, মৌখিক এবং মেডিক্যাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, পরীক্ষায় উত্তীর্ণদেরকে নিয়মানুযায়ী যোগদান প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবহিত করা হয়। প্রার্থীদের www.joinbangladesharmy.mil.bd অথবা http://army.teletalk.com.bd এই ওয়েবসাইটে ঢুকে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। ফরম পূরণ করার পর প্রার্থীকে টেলিটকের প্রি-পেইড মোবাইল থেকে ওয়েবসাইটের INSTRUCTION-এ বর্ণিত পদ্ধতি অনুযায়ী ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস করে আবেদন ফি জমা দিতে হবে। আবেদন ফি জমা দেওয়ার পর প্রাপ্ত ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ওই ওয়েবসাইটে লগইন করতে হবে। সফলভাবে লগইন করার পর প্রার্থী প্রাথমিক নির্বাচনী পরীক্ষার জন্য একটি প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। আবেদনপত্রের সঙ্গে ছয় কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি, শিক্ষাগত যোগ্যতার সত্যায়িত সনদ ও মার্কশিটের ফটোকপি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও প্রাথমিক নির্বাচনী পরীক্ষার প্রবেশপত্র ইত্যাদি কাগজপত্র প্রাথমিক নির্বাচনী পর্ষদের কাছে জমা দিতে হবে। প্রার্থীদের প্রাথমিক নির্বাচনী পরীক্ষার জন্য অনলাইনে পূরণ করা আবেদনপত্রসহ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত এলাকাভিত্তিক নিজ জেলার পাশে বর্ণিত নির্বাচনী পর্ষদ/ এরিয়া সদর দপ্তরসমূহে নির্ধারিত তারিখে উপস্থিত থাকতে হবে। অফিসার হওয়ার জন্য যে কয়টি পরীক্ষা দিতে হয় তা হচ্ছেঃ ✦ ক) প্রাথমিক মেডিক্যাল। ✦ খ) প্রাথমিক ভাইভা। ✦ গ) লিখিত পরীক্ষা। ✦ঘ) আইএসএসবি বা চারদিন ব্যাপী আই কিউ, মনস্তাত্তিক, ভাইভা, নেতৃত্বের গুণাবলী, কমিউনিকেশন স্কিল, প্ল্যানিং, শারীরিক যোগ্যতা ইত্যাদির উপর পরীক্ষা। ✦ ঙ) চূড়ান্ত মেডিক্যাল ও সাঁতার পরীক্ষা। ✦চ) চূড়ান্ত ভাইভা। জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার (জেসিও) হওয়ার জন্য যে কয়টি পরীক্ষা দিতে হয় তা হচ্ছেঃ ✦✦✦ তিন ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষা হবে ১০০ নম্বরের। বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান বিষয় থেকে প্রশ্ন থাকবে। বাংলা, ইংরেজির জন্য এইচএসসির সমমানের পাঠ্যবই পড়লে লিখিত পরীক্ষায় ভালো করা যাবে। আর গণিতের জন্য এসএসসি সমমানের পাঠ্যবই চর্চা করলেই চলবে। ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্টের প্রার্থীদের জন্য ওই বিষয়ের ওপর ৪০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। লিখিত পরীক্ষার ফলাফল সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। ✦✦✦ লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের চূড়ান্ত ডাক্তারি পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। এসব পরীক্ষার তারিখ এসএমএসের মাধ্যমে প্রার্থীদের জানানো হবে। চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের প্রথমে ১২ সপ্তাহ এবং পরে ১৯ সপ্তাহের প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করতে হবে। প্রশিক্ষণ শেষে তাঁদের চূড়ান্তভাবে নিয়োগ করা হবে। নন কমিশন্ড অফিসার (এনসিও) ও অন্যান্য পদবীতে নির্বাচিত হওয়ার জন্য যে কয়টি পরীক্ষা দিতে হয় তা হচ্ছেঃ ✦✦✦ কয়েক ধাপে অনুষ্ঠিত হয় এই বাছাই প্রক্রিয়া। প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা দিয়েই শুরু। এরপর লিখিত পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের চূড়ান্ত নির্বাচন করা হয়। সেনা সদরের চূড়ান্ত মনোনয়ন পর্ষদ থেকে নির্বাচিত প্রার্থীদের এক বছরের মৌলিক সামরিক প্রশিক্ষণে অংশ নিতে হবে। পাশাপাশি চাকরিকালীন প্রার্থীরা এইচএসসি ও উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবেন। সেবার ধরন নাগরিক সেবা মন্ত্রণালয় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ বিভাগ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যোগ্যতা একজন যোগ্য বাংলাদেশী নাগরিক, নিম্নলিখিত পদ অনুযায়ী যোগ্যতাসম্পন্ন হলেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করতে পারবেন। সেনাবাহিনীতে মুলত তিনটি ক্যাটাগরি রয়েছে।
উত্তর সন্ধানী! বেস্ট বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর ওয়েবসাইট। প্রশ্ন করুন, উত্তর নিন, সমস্যা সমাধান করুন ।
উত্তর সন্ধানী কি?
উত্তর সন্ধানী বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর এর ওয়েবসাইট।
গোপন প্রশ্ন ও উত্তর। ডিজিটাল শিক্ষায় প্রশ্নের উত্তরের সেরা ওয়েবসাইট।
...