নামাজ আদায় না করা ইসলামিক শরিয়তের দৃষ্টিতে একটি গুরুতর গুনাহ (পাপ) হিসেবে গণ্য হয়। নামাজ ইসলামের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ এবং মুসলিমদের জন্য ফরজ বা বাধ্যতামূলক ইবাদত। তাই নামাজ ইচ্ছাকৃতভাবে না পড়া ইসলামিক বিধান অনুযায়ী মারাত্মক অপরাধ।
নামাজ না পড়ার গুনাহ সম্পর্কিত বিষয়গুলো হলো:
1. ফরজ আমল পরিত্যাগ করা: নামাজ ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের অন্যতম। এটি ফরজ আমল, এবং ইচ্ছাকৃতভাবে ফরজ আমল ত্যাগ করা বড় গুনাহ হিসেবে বিবেচিত। আল্লাহতায়ালা কুরআনে এবং হাদিসে বারবার নামাজের গুরুত্ব উল্লেখ করেছেন।
2. ইসলাম থেকে বিচ্যুতি: কেউ যদি নামাজকে অবজ্ঞা করে এবং একেবারেই পড়তে চায় না বা অস্বীকার করে, তাহলে তা ইসলাম থেকে বিচ্যুতির সামিল হতে পারে। রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, নামাজ এবং কুফরের (অবিশ্বাস) মধ্যে পার্থক্য হলো নামাজ ত্যাগ করা। (মুসলিম শরীফ)
3. আখিরাতে শাস্তি: কুরআন ও হাদিসে বর্ণিত আছে যে, যারা ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ছেড়ে দেয় তাদের জন্য আখিরাতে কঠোর শাস্তির কথা বলা হয়েছে। আল্লাহ বলেন, "তাদের পর এসেছে এমন উত্তরসূরী, যারা নামাজ ছেড়ে দিয়েছে এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ করেছে। ফলে তাদের জন্য মহাশাস্তি অপেক্ষা করছে।" (সূরা মারইয়াম, আয়াত ৫৯)
4. আল্লাহর নিকট থেকে দূরে সরে যাওয়া: নিয়মিত নামাজ না পড়া আল্লাহর কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দেয় এবং ব্যক্তিকে ঈমানের দুর্বলতার দিকে ধাবিত করে।
নামাজ ইসলামের ভিত্তি এবং মুসলিমদের জন্য দৈনিক পাঁচবার আদায় করা ফরজ। এটি আল্লাহর নির্দেশ, এবং এটি পালন না করলে সেই নির্দেশ লঙ্ঘন করা হয়, যা বড় গুনাহ। তবে কেউ যদি নামাজে ফাঁকি দিয়ে থাকে, তবে দ্রুত তওবা করে নিয়মিত নামাজ শুরু করা উচিত।