কার্যনীতির উপর ভিত্তি করে মাউসকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- (ক) মেকানিক্যাল মাউস (Mecanical Mouse) : মেকানিক্যাল মাউসের মধ্যে একটি ছোট বল থাকে। মাউস নাড়াচাড়া করলে বলটি নড়াচড়া করে। বলটি দুটি রোলারের মাধ্যমে দুটি সুইচকে অন অফ করে কারসরের চলাচলকে নিয়ন্ত্রণ করে । (খ) অপটিক্যাল মাউসঃ অপটিক্যাল মাউসে অবশ্য ছোট বলটি থাকেনা তার পরিবর্তে থাকে লাইটবীম। বিশেষ ধরনের মাউস প্যাডের সাহায়্যে এই লাইটবীম কারসরের চলাচলকে নিয়ন্ত্রণ করে। বটন সংখ্যার উপর নির্ভর করে মাউস দুই ধরনের হয়। যথা- ১। দুই বা তিন বাটনের মাউস (আইবিএম কম্পিউটারের জন্য)। ২। এক বাটনের মাউস (মেকিনটোশ কম্পিউটারের জন্য)। মাউস চলাচল নির্ণয়ের প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে মাউসকে তিন শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যথা- ১। যান্ত্রিক মাউস ২। আলোক যান্ত্রিক মাউস ও ৩। আলোকীয় বা অপটিক্যাল মাউস। কম্পিউটার সিস্টেমের সংঙ্গে মাউসের সংযোগ পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে মাউসকে চার শ্রেণীতে ভাগ করা যায়ঃ ১। সিরিয়াল মাউস ২। বাস মাউস ৩। প্রোপ্রাইটারি মাউস ৪। তারবিহীন মাউস প্রধানত দু’ধরনের তারবিহীন মাউস পাওয়া যায়ঃ ১। ইনফ্রারেড তারবিহীন মাউস ও ২। রেডিও সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণ তারবিহীন মাউস।