গ্রাহকের কাছ থেকে নির্দিষ্ট কিস্তিতে প্রিমিয়াম(টাকা জমা দেওয়া) দেওয়ার বিনিময়ে নিজের নিরাপত্তা বিধানকে বীমা বলে। তবে নিরাপত্তাকে টাকার অংকে হিসাব করা হয়।
যেমন আপনি জীবন রক্ষার জন্য বীমা করলেন। এর মানে এই নয় যে বীমা কোম্পানি আপনাকে মরতে দেবেনা, সবসময় গার্ড দিয়া রাখবে। আসলে এর অর্থ কোন দুর্ঘটনায় যদি আপনি মারা যান তবে কোম্পানি আপনার পরিবারকে টাকা দেবে যাতে তাদের অভাব লাঘব হয়।
আবার বীমা কেবল এই উদাহরণ এর মত নিজের জীবন বাচা মরার বিষয় নয়, অনেক কিছুর বীমা হতে পারে যেমন গাড়ি, মোটর ইত্যাদি। অর্থাৎ আপনি যে গাড়ির বীমা করে প্রিমিয়াম দিবেন সেই গাড়ি কোন এক্সিডেন্ট হয়ে নষ্ট হলে কোম্পানি আপনাকে টাকা দিবে।
আপনার হয়ত মনে হতে পারে কোম্পানি টাকা দিতে যাবে কেন? আসলে যখন ভালো ও স্বাভাবিক ছিল তখন তো কোম্পানি আপনার কাছ থেকে ফাউ টাকা নিয়েছে। আপনি জমা দিয়েছেন। কোম্পানি এই টাকা বৃহত কাজে লাগিয়ে আরও ইনকাম করেছে। তাই কোম্পানি আপনার দুঃসময়ে টাকা দিবে। এতে কোম্পানির ক্ষতি বা লস নাই। কারণ ইতোমধ্যে কোম্পানি আপনার দেওয়া টাকা নিয়া বিজনেস করে ইনকাম করেছে। আর কোম্পানি অগণিত টাকা দেয়না। বীমাকৃত বিষয়ের মূল্য হিসাবে বীমার টাকার পরিমাণ ধরা হয়। আবার ইচ্ছাকৃত এক্সিডেন্ট হলে, জীবন বীমার ক্ষেত্রে সুইসাইডের মত ইচ্ছাকৃত মারা গেলে বা বাচার অনিচ্ছায় অবহেলায় মৃত্যু বেছে নিলে কোম্পানি টাকা দেয়না।
কোম্পানির বাস্তবিক লস হয় তখনই যখন প্রকৃত অর্থেই মারা যায় বা এক্সিডেন্ট ঘটে। আবার বীমা করার পর মেলাদিনও হয়ে যাইনি সেই ক্ষেত্রে কিছুটা লস হয়। তবে অন্যদের কাছ থেকে লাভ করায় সামগ্রিক ভাবে লস হয়না। বীমা কোম্পানীর আসল শক্তি হচ্ছে এ দুনিয়ায় কেউ ইচ্ছা করে মারা যায়না, এক্সিডেন্ট ঘটেনা, জাহাজ ডুবে যায়না। বরং সবাই প্রাণপণ বাচার চেষ্টা করে, রক্ষার চেষ্টা করে থাকে।