বাউ মুরগী হচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত এক প্রকার মুরগী। এই মুরগী উদ্ভাবনের সফলতার খবর প্রথম ২০১৪ সালে দেওয়া হলেও বর্তমান স্বল্প আকারে বাণিজ্যিক ভিক্তিতে পালন করা হচ্ছে।
খামারে পালন করা হলেও বাউ মুরগী দেখতে আর স্বাদে গুণে প্রায় দেশি মুরগির মতোই। কারণ এই মুরগী উদ্ভাবন করা হয়েছে দেশি মুরগির জাত থেকেই।
'বাউ ব্রো মুরগি' বা 'বাউ মুরগি' নাম দিয়ে নতুন জাতের এই মুরগির দুটি স্ট্রেইন বা জাত উদ্ভাবন করেছেন বিজ্ঞানীরা।
অনেকগুলো স্থানীয় জাতের জার্মপল্গাজম ব্যবহার করে দুইটা জাত উদ্ভাবন করতে পেরেছে বিজ্ঞানীরা, যেগুলো ফার্মে পালন করা সম্ভব। এগুলোর স্বাদ প্রায় দেশি মুরগির মতোই সুস্বাদু।
প্রচলিত ব্রয়লার মুরগির মতোই ঘরে এগুলো লালন-পালন করা যাবে। ছয় সপ্তাহ বা দেড়মাস বয়স হলেই সেগুলো বাজারজাত করা যাবে।
বাউ সাদা ও বাউ রঙিন
গবেষকরা যে দুইটি জাত উদ্ভাবন করেছে, তার নাম দেয়া হয়েছে 'বাউ সাদা' এবং 'বাউ রঙিন'। অর্থাৎ একটি মুরগি সাদা রঙের হয়ে থাকে, আরেকটা রঙিন।
সাদা বাউ প্রচলিত ব্রয়লার মুরগির মতই তবে মাংস ব্রয়লারের চেয়ে একটু শক্ত
এবং রঙিন জাতটির স্বাদ একেবারে দেশি মুরগির মতোই।
সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে এই বাউ মুরগী খাটি দেশী মুরগির তুলনায় দ্রুত বেড়ে ওঠে। মাত্র
দেড় মাস সময়ে একেকটা মুরগির ওজন হয়ে থাকে গড়ে ৯০০ গ্রাম থেকে এক কেজি পর্যন্ত।
বিজ্ঞানীরা বলছেন ''দেশি মুরগির জাত থেকে এগুলো উদ্ভাবন হওয়ায় আমাদের দেশের আলো বাতাসে এরা সহজেই খাপ খাইয়ে নিতে পারে। এদের রোগ-বালাই কম হয়। বেশি টিকা বা অ্যান্টিবায়োটিক দিতে হয় না।"
তবে এই জাত দুইটি ব্রয়লার মুরগির মতোই যা শুধুমাত্র মাংসের জন্যই উৎপাদন করা যাবে, এবং এসব মুরগি থেকে ডিম হবে না।