পৃথিবীতে জীবনঃ পৃথিবীতে আগে জীব বা জীবন সৃষ্টি হয়েছে। এরপর সেই জীব বা জীবনের বংশ ধারা বজায় রাখতে বংশ বিস্তার সিস্টেম বা ডিমের সৃষ্টি হয়েছে।
তাই কখনোই আগে ডিম নয়, আগে মুরগী এসেছে।
এখানে ডিম না হলে মুরগী হল কিভাবে এটি বলে মূলত মানুষকে কনফিউজ করে দেওয়া হয়। এটি ইয়ংদের মসকরা করার উৎস ছাড়া আর কিছু নয়।
তথাপি মুরগীও হঠাৎ করেই আসেনি। মুরগীর আগে তদ্রুপ কোন প্রাণী ছিল। সেই প্রাণির পারিপার্শ্বিক সাপেক্ষে বিবর্তন ঘটেছিল। এই বিবর্তন এবং পরিবেশের নানা প্রভাবের ফলে তার ডিমে যখন ক্রোমোজোম এর নিষেক ঘটছিল তখন মিউটেশন ঘটে নতুন জীবের ভ্রূণে কিছুটা পরিবর্তন হয়েছিল। এই পরিবর্তনের ফলে যে শিশু বাচ্ছাটি হয় তা তার মা বাবার মত হুবুহ এক ছিলনা। কারন মিউটেশন এর ফলে সামান্য পরিবর্তন হয়েছিল। এই নতুন বাচ্চাটি আরও বিবর্তন ধারায় আজকের মুরগী হয়।
এখানে মনে হতে পারে যে তাহলে ডিম আগেইত হল যাতে পরিবর্তন হয়েছে।
কিন্তু বিজ্ঞান মতে তা নয়। ডিম হওয়া আর তা থেকে ভ্রুণ হওয়া দুটি আলাদা ধাপ। ডিম সঠিক গঠনের হলেও নিষেকের পর ভ্রূণ গঠনের সময় যে প্রাথমিক একটি কোষ বা স্টেম সেল উৎপন্ন হয় তাই জীবের প্রথম ধাপ যা ডিমের গঠন নয়। কারন নিষেকের সময় বা ঠিক প্র ভ্রূণ গঠনের সময়ে নানা পরিবর্তন হয়। জীব কেমন তা এখান থেকেই নির্ধারিত হয়।
ডিমের উপাদান ক্রোমোজোম সবসময় পিতামাতার বৈশিষ্ট্য বহন করে। যা নতুন জীবকে পিতামাতার মতই গঠিত করতে চাই। এই থিউরি মতে ডিমই প্রথম বলা যাবে। কারন ডিমই নির্ধারিত করে দেয়।
কিন্তু আপত্তি ওঠে মিউটেশন ও বিবর্তন। মিউটেশন এমন এক জিনিস যা ডিমের পূর্ব নির্ধারণকে পালটে দেয়।
তাই নিঃসন্দেহে মুরগীই আগে কেননা এটি নিষেকের পর প্রথম ভ্রুণ কোষ থেকেই আকৃতি বা গঠনের সূত্র পেয়েছে।
আবার যদি আপনি মিউটেশন বিবর্তনকে বাদ দেন তবে মুরগীই আগে হবে। কারন ডিম যদি আগে হত তাহলে বাচ্চা হতই না। কারন ডিমের উপর বসে "তা" দিয়া ডিম ফোটাবে কে? ডিমে তা দিয়া ডিম ফোটাতে মুরগীরই প্রয়োজন।
তাই কোন ভাবেই ডিম আগে নয়।
আবার এসব বাদ দিয়া ডিম আগে ধরলেও হবেনা। কারন শুধু একটি ডিমেই মুরগী হয়না। সেই ডিমকে নিষেকের জন্য মোরগের শুক্রাণু দরকার। কাজেই শুক্রাণু দেওয়ার জন্য আগেই মোরগতো ছিলই যা মুরগীর পরিপূরক।
তাই মোরগ বা মুরগী আগে এসেছে জীব হিসাবে। ডিম আগে নয়।
এটি নিয়া নিছক মজা করা যায় কিন্তু সিরিয়াস হবেন না।