করোনারি হৃদরোগের অন্যতম
প্রধান রোগ সৃষ্টি হয়
করোনারি ধমনিতে। ধমনির
ভেতর ব্লক সৃষ্টি হলে
পর্যাপ্ত O2 - সমৃদ্ধ রক্ত
হৃৎপেশিতে সংবহিত হতে
পারে না। ফলে হার্ট
ফেইলিউর ও হার্ট
অ্যাটাকের মতো মারাত্মক
পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে
পারে। এমন মারাত্মক
অবস্থা মোকাবিলায়
এনজিওপ্লাস্টি কার্যকর
ভূমিকা পালন করে।
এনজিওপ্লাস্টি ধমনির
ল্যুমেন থেকে ব্লক অপসারণ
বা হ্রাস করতে পারে এবং
শ্বাসকষ্ট ও বুকে ব্যথা উপশম
হয়। হার্ট অ্যাটাকের
সম্ভাবনা কমিয়ে জীবন
রক্ষায় অবদান রাখে।
যেহেতু বুক উন্মুক্ত করতে হয়
না সেহেতু কষ্ট, সংক্রমণ ও
দীর্ঘকালীন সতর্কতার
প্রয়োজন পড়ে না। বেলুন ও
স্টেন্ট পদ্ধতি একই সাথে
ব্যবহার করলে প্লাক-এর
পুনরাবির্ভাবের সম্ভাবনা
কমে যায়। মাত্র এক থেকে
কয়েক ঘন্টায় জীবন
রক্ষাকারী এ প্রক্রিয়া
সম্পন্ন হতে পারে এবং
কয়েক দিন পর থেকেই
হালকা কাজকর্ম করা সম্ভব।
সুস্থ হতে ৪ সপ্তাহের বেশি
লাগে না।
যাঁরা বৃক্কের অসুখে ভুগছেন,
কিংবা অ্যানজিওগ্রামের
সময় রঞ্জকের প্রতি
অ্যালার্জি দেখা দেয় এবং
যাঁদের বয়স ৭৫ বছরের বেশি
তাঁদের ক্ষেত্রে
এনজিওপ্লাস্টি কিছুটা
অসুবিধাজনক হতে পারে।