পৃথিবী যেহেতু গোলাকার, এবং আমরা মহাবিশ্বকে একটি বিশাল স্থান হিসাবে বিবেচনা করি, "আসমানের নিচে" পৃথিবীর অবস্থান বোঝার জন্য আমাদের মহাবিশ্বের দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি দেখতে হবে।
১. মহাবিশ্বের স্থান এবং পৃথিবীর অবস্থান:
পৃথিবী মহাবিশ্বের এক ছোট্ট অংশ এবং এটি সৌরজগতের অংশ, যেখানে পৃথিবী সহ আরও আটটি গ্রহ রয়েছে। আমাদের সৌরজগত আকাশগঙ্গা (Milky Way Galaxy) নামক একটি বৃহৎ ছায়াপথের একটি অংশ।
মহাবিশ্বের নির্দিষ্ট কোনো "উপরে" বা "নিচে" ধারণা নেই, কারণ মহাবিশ্ব একটি সীমাহীন এবং সমস্ত দিকে প্রসারিত স্থান। মহাবিশ্বের সবকিছুই আপেক্ষিক। পৃথিবী প্রতিনিয়ত সূর্যের চারদিকে ঘুরছে এবং নিজ অক্ষে আবর্তিত হচ্ছে, এবং মহাবিশ্বের অন্যান্য বস্তুগুলির তুলনায় পৃথিবীর কোনো নির্দিষ্ট স্থির অবস্থান নেই।
২. আসমানের নিচে অবস্থান:
আসমানকে সাধারণত আমরা আকাশ হিসাবে বুঝি, যা মূলত পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল এবং মহাকাশের বিশাল স্থান। পৃথিবী গোলাকার হওয়ায়, মহাকাশের প্রতিটি অংশই পৃথিবীর চারপাশে বিস্তৃত। তাই পৃথিবী আসমানের নিচে নির্দিষ্ট কোনো এক স্থানে নেই, বরং এটি মহাবিশ্বের মধ্যেই অবস্থান করছে, যেখানে আসমান বা মহাকাশ পৃথিবীকে চারপাশ থেকে বেষ্টন করে রেখেছে।
৩. ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিক ধারণা:
আসমান বা আকাশ সম্পর্কে বিভিন্ন ধর্ম বা আধ্যাত্মিক দর্শনে ভিন্ন ব্যাখ্যা রয়েছে। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে আসমানকে সাধারণত একটি আধ্যাত্মিক স্থান হিসেবে দেখা হয়, যা পৃথিবীর উপরে অবস্থিত বলে ব্যাখ্যা করা হয়। তবে বৈজ্ঞানিকভাবে মহাবিশ্বে "উপরে" বা "নিচে" বলতে কিছু নেই।
উপসংহার:
পৃথিবী মহাবিশ্বের মধ্যে এক গোলাকার বস্তু হিসেবে নিজ অবস্থানে আবর্তিত হচ্ছে, এবং মহাকাশ বা আসমান পৃথিবীকে সবদিক থেকে ঘিরে রেখেছে। তাই পৃথিবী আসমানের নিচে কোনো নির্দিষ্ট স্থানে নয়, বরং আসমানের (বা মহাবিশ্বের) মধ্যেই অবস্থান করছে।