বাংলাদেশে সাতক্ষীরা অঞ্চলের মাদূর বিখ্যাত।
মূলত বাংলাদেশে মাদুর শিল্প গড়ে উঠেছে সুন্দরবনকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাটের, বরগুনা জেলায়।
এর মধ্যে খুলনা সাতক্ষীরার মাদুর বেশ বিখ্যাত। কিন্তু খুলনা রেঞ্জে মাদুর শিল্প কিছুটা কম থাকায় সাতক্ষীরার মাদুর বিখ্যাত বা পরিচিত পায়।
অনলাইনে মাদুর সম্পর্কে তেমন ভাল কোন আর্টিকেল পাওয়া যায়না। কলকাতা বা ইন্ডিয়ার মাদুর শিল্প নিয়ে কিছু আর্টিকেল পাওয়া গেলেও সেখানে মাদুর কাঠি বলে যেনতেন ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আসলে মাদুর তৈরি হয় সুন্দর বনের মেলে নামক (অনেকে ম্যালি নামে চেনেন) এক ধরনের অশাখ ঘাস জাতীয় জলজ উদ্ভিদ থেকে। তবে এই উদ্ভিদের দুটি প্রজাতি আছে। কলকাতায় যেটা মাদুর কাঠি বলে সেটার দেহ ত্রিকোনাকার হলেও কোনা গুলো সুক্ষকোন তৈরি না করে গোলাকার কোন হয়। এই প্রজাতি উদ্ভিদ চিকন। এটি নিন্ম মানের মাদুর। কিন্তু এটি আবার শক্ত ও টেকসই বেশি হয়। আরামদায়ক কিছুটা কম।
আরেক প্রজাতির ম্যালি দেহ ত্রিকোনাকার। কোণ তিনটি সুক্ষ্ম বা তীঘ্ন। এই ম্যালি বেশ মোটা। এই ম্যালি সূতা দিয়া বিশেষ প্রক্রিয়ায় চিরে দুটি বা তিনটি ফালি পাওয়া যায়। এগুলো রোদে শুকিয়ে মাদুর কাঠি প্রস্তুত হয়। এটি থেকে প্রাপ্ত মাদুর আরামদায়ক, শীতল তাই উন্নত মানের বলা যায়। কিন্তু এটি চেরা থাকায় টেকসই কম হয়। যদিও পরিপক্ক ম্যালি ও রোদে ভাল শুকালে এটিও বেশ টেকসই হয়।
এরপর এগুলো বিশেষ পাটাতনে বুনন করে মাদুর তৈরী হয়।
আরেক প্রকার উদ্ভিদ হোগলা থেকেও মাদুর তৈরি হয়। শীতলপাটি নামে পরিচিত মাদুর হোগলা থেকে তৈরি হয়। কিন্তু এটি ম্যালি থেকে টেকসই কম হয়।