in ধর্ম ও আধ্যাত্মিক বিষয় by
হজ্জের মৌসুমে পুনরায় দাওয়াত সম্পর্কে কিছু লিখ?

1 Answer

0 votes
by
 
Best answer
মাসাধিক কাল ত্বায়েফ সফর শেষে দশম নববী বর্ষের যুলক্বা‘দাহ মাসে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) মক্কায় ফিরে আসেন। এখান থেকে মুহাররম মাসের শেষ পর্যন্ত একটানা তিনটি হারাম মাসের সুবর্ণ সুযোগকে তিনি পুরোপুরি কাজে লাগান এবং হজ্জে আগত দূরদেশী কাফেলা সমূহের তাঁবুতে গিয়ে গিয়ে তাওহীদের দাওয়াত দিতে থাকেন। যদিও কেউ তাঁর দাওয়াতে সাড়া দেয়নি। বহিরাগতদের ইসলাম গ্রহণ : (১১ নববী বর্ষ) ━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━ এই বছর ভিন দেশের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি উমরাহ করার জন্য বা অন্য কোন উদ্দেশ্যে মক্কায় আসেন এবং শেষনবী আবির্ভাবের সংবাদ শুনে রাসূল (সাঃ)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। যারা এ সময় ইসলাম কবুল করে ধন্য হন, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন, ইয়াছরিবের আউস গোত্রের বিখ্যাত কবি ও উচ্চ সামাজিক মর্যাদার অধিকারী ও ‘কামিল’ লকবধারী সুওয়াইদ বিন ছামেত, একই গোত্রের ইয়াস বিন মু‘আয, ইয়াছরিবের বিখ্যাত ‘গেফার’ গোত্রের আবু যার গেফারী, ইয়ামনের যেমাদ আযদী প্রমুখ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ’।[1] এই সকল ব্যক্তির মাধ্যমে তাদের স্ব স্ব এলাকায় ইসলামের বাণী দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং পরবর্তীতে দলে দলে লোক ইসলাম কবুল করে। ১. সুওয়াইদ বিন ছামেত (سُوَيْدُ بْنُ الصَّامِت): ━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━ ১১ নববী বর্ষে উমরার উদ্দেশ্যে মক্কায় আসেন এবং ইসলাম কবুল করেন। কিন্তু ফিরে যাওয়ার অব্যবহিত পরেই তিনি নিহত হন। সেকারণ তাঁর ইসলাম গ্রহণ সম্পর্কে কেউ কেউ সন্দেহ পোষণ করলেও ইবনু হাজার বলেন, যদি তাদের বক্তব্য সঠিক হত, তবে তাঁকে সাহাবীদের মধ্যে গণ্য করা হত না (আল-ইছাবাহ, ক্রমিক ৩৮২২)। ২. ইয়াস বিন মু‘আয (إيَاسُ بْنُ مُعَاذٍ) : ━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━ ইনি আবুল জালীস আনাস বিন রাফে‘ এবং বনু আব্দিল আশহালের কতিপয় যুবকের সাথে মক্কায় আসেন। আউস গোত্রের এ দলটি আগমনের উদ্দেশ্য ছিল খাযরাজ গোত্রের বিরুদ্ধে কুরায়েশদের মিত্রতা ও সহায়তা লাভ করা। তাদের আগমনের খবর পেয়ে রাসূল (সাঃ) তাদের নিকট গিয়ে বললেন, আপনারা যে উদ্দেশ্যে এসেছেন তার চাইতে উত্তম বস্ত্ত গ্রহণ করবেন কি? তারা বলল, সেটা কি? তিনি বললেন, আমি আল্লাহর রাসূল। আল্লাহ তা‘আলা আমাকে তার বান্দাদের নিকটে এ উদ্দেশ্যে প্রেরণ করেছেন যে, আমি যেন তাদেরকে দাওয়াত দেই এ মর্মে যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর এবং তার সাথে কাউকে শরীক করো না। তিনি আমার উপর কিতাব অবতীর্ণ করেছেন। অতঃপর তিনি তাদের নিকট ইসলাম সম্পর্কে আলোচনা করলেন এবং কুরআন তেলাওয়াত করে শুনালেন’। এসময় যুবক ইয়াস বিন মু‘আয বলে উঠলেন, হে আমার সাথীরা! আল্লাহর কসম আমরা যে উদ্দেশ্যে এসেছি এটাতো তার চেয়ে অনেক উত্তম। তখন আনাস বিন রাফে‘ এক মুষ্টি কংকর নিয়ে ইয়াসের মুখে মারল। তারপর রাসূল (সাঃ) উঠে গেলেন এবং তারা ইয়াছরিবে ফিরে গেল। এর কিছুদিন পর ইয়াস মৃত্যুবরণ করেন। রাবী বলেন, মৃত্যুর সময় তিনি তাসবীহ, তাহলীল, তাকবীর ও তাহমীদে রত ছিলেন। সেকারণ ইসলামের উপর তার মৃত্যু হয়েছিল বলে অনেকে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন’ (আহমাদ হা/২৩৬৬৮, সনদ হাসান)। ৩. আবূ যর গিফারী (أَبُو ذَرِّ الْغِفَارِىُّ) : ━━━━━━━━━━━━━━━━━━━━ তাঁর ইসলাম কবুলের ঘটনা তাঁর যবানীতেই জানা যায়। তিনি বলেন, আমরা জানতে পারলাম যে, মক্কায় এক ব্যক্তি নিজেকে নবী বলে দাবী করছেন। আমি আমার ভাইকে বললাম, তুমি মক্কায় গিয়ে ঐ ব্যক্তির সাথে কথা বলে বিস্তারিত খোঁজ-খবর নিয়ে এস। সে রওয়ানা হয়ে গেল এবং মক্কায় তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ফিরে আসল। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, কি খবর নিয়ে এলে? সে বলল, আল্লাহর কসম! আমি এমন একজন ব্যক্তিকে দেখেছি যিনি সৎকাজের আদেশ দেন এবং অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করেন। আমি বললাম, তোমার খবরে আমি সন্তুষ্ট হতে পারলাম না। অতঃপর আমি একটি ছড়ি ও এক থলি খাবার নিয়ে মক্কায় রওয়ানা হলাম। কিন্তু সেখানে গিয়ে আমি তাকে চিনতেও পারলাম না বা কারু কাছে তার কথা জিজ্ঞেস করাও সমীচীন মনে করলাম না। তাই আমি যমযমের পানি পান করে মসজিদে থাকতে

Related questions

উত্তর সন্ধানী! বেস্ট বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর ওয়েবসাইট। প্রশ্ন করুন, উত্তর নিন, সমস্যা সমাধান করুন ।
উত্তর সন্ধানী কি?
উত্তর সন্ধানী বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর এর ওয়েবসাইট।
গোপন প্রশ্ন ও উত্তর। ডিজিটাল শিক্ষায় প্রশ্নের উত্তরের সেরা ওয়েবসাইট।
...