in ধর্ম ও আধ্যাত্মিক বিষয় by
রোযাদারের মেসওয়াক করার হুকুম কী

1 Answer

0 votes
by
রোজাকালে ও রোজা ছাড়া, দিবসের প্রথমভাগে অথবা শেষভাগে সবসময় মিসওয়াক করা মুস্তাহাব। দলিল হচ্ছে-১- ইমাম বুখারি (নং ৮৮৭) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যদি আমি আমার উম্মতের জন্য কঠিন মনে না করতাম তাহলে তাদেরকে প্রত্যেক নামাযের সময় মিসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম।”২- ইমাম নাসাঈ, আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “মিসওয়াক হচ্ছে- মুখ পবিত্রকারী ও রব্বকে সন্তুষ্টকারী”[নাসাঈ (৫), আলবানী সহিহ নাসাঈ গ্রন্থে (৫) হাদিসটিকে সহিহ বলেছেন]এ হাদিসগুলোত সবসময় মিসওয়াক করা মুস্তাহাব হওয়ার পক্ষে দলিল পাওয়া যায়। এ বিধান থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রোজাদারকে বাদ দেননি। বরং হাদিসগুলো রোজাদার ও রোজাদার নয় এমন সকলকে শামিল করে।মিসওয়াক করার পর থুথু গিলে ফেলা জায়েয। তবে যদি মিসওয়াকের কোন কিছু ছুটে মুখে থাকে তাহলে সেটা ফেলে দিয়ে থুথু গিলে ফেলবে। যেমন রোজাদারের জন্য ওজু করা জায়েয। ওজুর পানি মুখ থেকে ফেলে দিয়ে থুথু গিলে ফেলা জায়েয। কুলির পানি মুখ থেকে শুকিয়ে ফেলা আবশ্যকীয় নয়।

Related questions

মনোভাব প্রকাশনী! আপনি প্রশ্ন করতে পারবেন এবং গোষ্ঠীর অন্যান্য সদস্যদের নিকট থেকে উত্তর পেতে পারবেন। সকলের মনোভাব প্রকাশের মাধ্যমে আমরা আমাদের জ্ঞান সমৃদ্ধ করতে পারি।
মনোভাব প্রকাশনী কি?
মনোভাব প্রকাশনী বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর এর ওয়েবসাইট।
আপনার মনের কৌতহল মনোভাব কে প্রকাশ করুন। প্রশ্ন করে মনোভাব প্রকাশ করুন। উত্তর দিয়া আপনার মনোভাব কে জানিয়ে দিন। সাহায্য করুন অপরের মনোভাবের জড়তাকে জাগ্রত করতে। শিখিয়ে দিন এতে আপনারই জ্ঞান বৃদ্ধিপাবে।
...